শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:৩৫ অপরাহ্ন

ওষুধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯

স্বদেশ ডেস্ক:

রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে সাময়িক বরখাস্তকৃত তৎকালীন ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেনের ফের ওষুধ প্রশাসনে চাকরির ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ রোববার প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৮ জুলাই এই দুই কর্মকর্তার চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই দিন আদেশে আদালত বলেছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক যদি মনে করেন তাদের অন্য কোথাও পদায়ন করবেন, করতে পারেন। কিন্তু ওষুধ প্রশাসনের চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

হাইকোর্টের ওই আদেশটি স্থগিত চেয়ে এ দুই কর্মকর্তা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। গত ২৩ জুলাই চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন।

পরে রিটকারী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত ৮ আগস্ট চেম্বার আদালতের সে আদেশটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে।

প্রত্যাহারের সে আবেদনটির গ্রহণ করে রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

ফলে হাইকোর্টের আদেশটিই বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দিয়েছিলেন ঢাকার ওষুধ আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমান।

ওই রায়ে বিচারক বলেছিলেন, মামলার বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তখনকার সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেনের ‘অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে’ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

পরে ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের পর চলতি বছরের ৩১ মার্চ ‘তিরস্কার’ করে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ওষুধ প্রশাসন। এরপর এ দুই কর্মকর্তা তাদের চাকরি শুরু করেন।

৩১ মার্চের ওই প্রত্যাহার আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ -এইচআরপিবি হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। ৩১ মার্চের মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ কেন অবৈধ এবং আইনগত কর্তৃত্ববর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ বিবাদিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুই কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ